নারায়ণগঞ্জে হত্যার নির্দেশদাতা কে শেখ হাসিনাকে জবাব দিতে হবে -------------মির্জা ফখরুল (2023)

স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শান্তিপূর্ণ মিছিলে যে অস্ত্র দিয়ে গুলী করা হয়েছিল সেটা ছিল চাইনিজ রাইফেল। এই রাইফেল দিয়ে এসআই কনক গুলী করেছে। তার নামে এই অস্ত্র বরাদ্দ ছিল না। কেন তিনি বিনা কারণে হত্যা করলেন। আমরা তার বিচার চাই। এই হত্যার নির্দেশদাতা কে এই জবাব অবশ্যই শেখ হাসিনাকে দিতে হবে। এর তদন্ত করতে হবে। তাকে সাজা দিতে হবে। যদি না দেন। আমরা বসে থাকবো না। ভোলায় মামলা করেছি। নারায়ণগঞ্জেও মামলা করবো।

গতকাল শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে যুবদলকর্মী শাওন হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আবার বিনাভোটে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিরোধী মত দমনে গুলী করে হত্যা শুরু করেছে। গায়েবি মামলা করছে। তারা বিএনপিকে মাঠ থেকে সরিয়ে দিতে চায়। তারা একক নির্বাচন করতে চায়। আমি বলতে চাই, আমাদের ভাইদের মেরেছেন আমরা প্রতিশোধ নেবো। নির্যাতনের প্রতিশোধ নেবো। আমরা বসে থাকবোনা। আমরা এদেশে আর একতরফা নির্বাচন করতে দিবোনা। এখনও সময় আছে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে, থাকবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আমাদের এক দফা এক দাবি। এই সরকারকে হটাতে হবে।

ফখরুল বলেন, একটা দেশের পুলিশ প্রধানকে শর্ত সাপেক্ষে বিদেশে যেতে দিয়েছে। এটা কতটুকু অপমানজনক। কেন দেয়া হয়েছে তা আপনারা জানেন। মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্যই এই শর্ত ছিল। পৃথিবীতে যারাই মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে তারা কেউ রক্ষা পায়নি। জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান বাংলাদেশে এসে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন এই দেশে মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘন হচ্ছে। গুম হচ্ছে, খুন হচ্ছে। তিনি সরকারের চারজন মন্ত্রী, সাংবাদিক ও সুশীলদের সাথেও কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন এসবের সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার। প্রয়োজনে জাতিসংঘ তদন্তে সহযোগিতা করবে।

এসময় তিনি বলেছেন মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে যদি সেনাবাহিনী জড়িত থাকে তাহলে তাও তারা দেখতে চায়।

তিনি আরও বলেন, এই সরকার সমগ্র প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে, বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে, গণমাধ্যমকে ধ্বংস করেছে। এদেশ থেকে টাকা পাচার করা হয়েছে। তাদের বিচার হবে।

সমাবেশে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, নারায়ণগঞ্জে একজন ত্যাগী নেতাকে হত্যা করল এই সরকার। বিনা নির্দেশে এই গুলী করা হয়নি। নির্দেশদাতা কে আমরা জেনেছি। আমরা তাকে আমরা ছাড়বো না। তিনি বলেন, এই চাইনিজ রাইফেল যুদ্ধের সময় ব্যবহার হয়েছে। সেই রাইফেল দিয়ে গুলী করে মারছেন। আজ আপনাদের দূর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলাতে আপনারা হত্যা করছেন। পাকুন্দিয়ায় গুলী করা হয়েছে। এই সরকারকে হটাতে যা করার তাই করবো। এই কর্তৃত্ববাদী সরকারকে হটাতে হবে।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশের অবস্থা এখন এমন জায়গায় এসেছে প্রতিবাদের ভাষাও হারিয়ে পেলেছি। বাংলাদেশের মানুষের ওপর গুলী চালানো হচ্ছে। একটা অবৈধ সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য গুলী চালানো হচ্ছে। আজ তাদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করার ক্ষমতা নাই বলেই। তারা এখন রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। তাদের মাঝে কোন রাজনৈতিক শিষ্টাচার নাই।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, এর আগে একটা সমাবেশ দেখেই বলা শুরু করলেন খেলা হবে। ওই দিন সমাবেশ দেখেই আপনাদের মাথা খারাপ হয়েছে। এরপর খেলায় খেলা হবে। তাই সাবধান হয়ে যান।

তিনি বলেন, শাওনকে হত্যার পর নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার পত্রিকায় বিবৃতি দিয়েছেন। আমি বলতে চাই আপনি কোন রাজনৈতিক কর্মী না। আমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দুইদিন আগে যখন আওয়ামী লীগ সমাবেশ করেছিল, তখন কোথায় ছিলেন। কেন আমাদের শান্তিপূর্ণ র‌্যালিতে গুলী করেছেন।

তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে সাত খুন করে শীতলক্ষায় ডুবিয়ে দিয়েছিলেন যিনি একজন মন্ত্রীর মেয়ের জামাই হয়েও সেই র‌্যাব কর্মকর্তাও বাঁচতে পারেন নাই। যে সমস্ত অতি উৎসাহী পুলিশ আছেন। আপনরাও সাবধান হয়ে যান। আপনাদের বেতন হয় জনগণের টাকায়। তাই আপনারা কোন অপকর্মে লিপ্ত হবেন না।

তিনি বলেন আমাদের অপরাধ কি। আপনারা চালের দাম, তেলের দাম, গ্যাসের দাম বাড়িয়েছেন। আমরা এর প্রতিবাদে আন্দোলন করেছি। আমাদের আন্দোলনে ভোলায় দুইজনকে মেরেছেন। নারায়ণগঞ্জে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যুবদল কর্মী শাওনকে মেরেছেন গুলী করে। আজ (গতকাল) পাকুন্দিয়ায় গুলী করেছেন শত শত নেতাকর্মীর উপর। পুলিশের সাথে আমাদের যুদ্ধ না। আপনারা আওয়ামী লীগের কোন অঙ্গসংগঠন না । আপনারা অসঙ্গতি কোন আচরণ করবেন না।

আবদুস সালাম আরও বলেন, আমাদের অন্দোলন গণতন্ত্রের জন্য। তাই গণতন্ত্র রক্ষা করতে হলে, সরকারকে হটাতে হলে সবাইকে রাস্তায় নেমে আসতে হবে। আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবো। খুন করবেন করেন। কোন লাভ হবে না। আপনার অধীনে আর কোন নির্বাান হবেনা। ভবিষ্যতে নির্বাচন কমিশন লাগাম টেনে কথা বলবেন। শুধু আওয়ামী লীগ দিয়ে নির্বাচন করতে চাও, এমন নির্বাচন করতে চাইলে খবর আছে। সহজে ছাড় দেয়া হবোনা। জনগণ ছাড় দিবেনা। তাই বলতে চাই আর কোন ছাড় নাই। এখনই পদত্যাগ করো। তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া আর কোন নির্বাচন হবেনা। আমাদের আন্দোলন চলছে, চলবে। হত্যা করে রাজপথ থেকে সরাতে পারবেন না। পুলিশ কমিশনারকে বলতে চাই। গত দুই দিন আমাদের প্রোগাম ছিল, আওয়ামী লীগের কর্মীরা ঢাকার প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে অস্ত্র দিয়ে মহড়া দিয়েছে। আপনি কোথায় ছিলেন। আপনার কাছে কি এসব তথ্য ছিলনা? এসব মহড়া দিয়ে কোন লাভ হবে না। ক্ষমতা থেকে নামাবে, আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ নেত্রীকে মুক্ত করে আনবো। তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবো।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্যা আমান বলেন, নারায়ণগঞ্জে যুবদল কর্মী শাওনকে পুলিশ গুলী করে নাই। গণভবনে বসে শেখ হাসিনার নির্দেশে গুলী করা হয়েছে। তারা হামলা, মামলা, গ্রেফতার ওগুলী করে আবারও ক্ষমতায় আসতে চায়। তিনি বলেন শেখ হাসিনার পতন ছাড়া আমরা ঘরে ফিরবোনা। এসময় তিনি স্লোগান দেন শাওনের রক্ত বৃথা যেতে দেবোনা, নূর আলমের রক্ত বৃথা যেতে দেবোনা, রহিমের রক্ত বৃথা যেতে দেবোনা, মুক্তি চাই মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, ঢাকা বিভাগ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, স্বেচ্ছাসেবী বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু, সহসাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস। সমাবেশে সঞ্চালনা করেন মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম।

সরকার আন্দোলনকে ভিন্নখ্যাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে

নারায়ণগঞ্জে যুবদল কর্মী শাওন প্রধানকে পুলিশ বেআইনি অস্ত্র দিয়ে গুলী করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সেদিন গুলী করার পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। তবুও আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে গুলী চালিয়েছে পুলিশ। মির্জা ফখরুল আরও বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির প্রতিবাদে সাধারণ মানুষের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা করছে সরকার। পূর্বের মতো সরকার নিজেই ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপিকে আগুন সন্ত্রাস আখ্যা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। জনগণ জেগে উঠেছে, এখন আর আন্দোলন দমানো যাবে না উল্লেখ করে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

গতকাল শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে তারেক রহমানের ১৬তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে উত্তরাঞ্চল ছাত্রফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, তারেক রহমান যখন সারাদেশে তরুণদের গোছানোর কাজ শুরু করেছিলেন, তরুণদের নতুন নতুন আইডিয়া দিচ্ছিলেন তখন থেকেই বিএনপির ওপর ক্ষেপেছে আওয়ামী লীগ। অল্প সময়ের মধ্যে সংগঠনকে একটা কাঠামোর মধ্যে আনার কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছেন। এখানেই হয়েছে কাল! যেহেতু বিএনপি আবার জেগে উঠছে। বিএনপি আবার ফিনিক্স পাখির মতো উড়ছে। সুতরাং তাকে (তারেক রহমান) আবার দমিয়ে ফেলতে হবে। তাকে আবার ফেলে দিতে হবে।’

তিনি বলেন, যে চক্রান্তে খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই একই চক্রান্তে তারেক রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের লক্ষ্য ছিল যারা গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলতে চায় তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করা। বেগম খালেদা জিয়াকে নিশ্চিহ্ন করা। ফখরুল বলেন, ১/১১ এর সময় 'মাইনাস টু' বলে একটা কথা প্রচার হয়েছিল। মাইনাস টু তো হয়নি, হয়েছে মাইনাস ওয়ান।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের মধ্যে কোনো বিভ্রান্তি থাকার সুযোগ নেই। পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সরকার কোনো ছাড় দেবে না। প্রশ্নই উঠতে পারে না। জনগণের শক্তি দিয়ে ছাড়টা আদায় করে নিতে হবে। এত সহজে মুক্তি পাওয়ার কথা না। সহজ সমাধানও নাই যে, আমরা পুরোপুরি মুক্তি পেয়ে যাব। এই লড়াইটা লড়তে হবে। আমাদের তো অনেক বয়স হয়েছে। আমরা এই লড়াই লড়ছি ছাত্র অবস্থা থেকে। আমাদেরকেও এই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। আর আজকে এই লড়াইয়ের দায়িত্ব এসে পড়েছে তরুণ সমাজের উপর, যোগ করেন তিনি।

গণতন্ত্র আবার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য লড়াই করতে হবে এটা জাতির জন্য দুঃখজনক বলে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, যুবসমাজকেই এখন এই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। তাদের ওপর দায়িত্ব পড়েছে এদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার। এদেশকে নতুন করে স্বাধীন করার দায়িত্ব এখন যুবসমাজের।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির সারাদেশে চলমান শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে গুলী করে হত্যা করে আওয়ামী লীগ সরকার এখন আন্দোলনকে ভিন্নভাবে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেছেন তারা বিদেশিদের কাছে এগুলো উপস্থাপন করবেন। বিদেশিরাও এখন বুঝে এসব আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র। এসময় ফখরুল দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, প্রতিটি পদক্ষেপ সতর্কতার সাথে নিতে হবে। আমরা তাদের সুযোগ দেবো না। এবার কোনভাবেই পরাজিত হবো না। এবার বিজয় লাভ করতে হবে।

তিনি বলেন, নিহত শাওন যুবদলের কর্মী ছিল। শাওন বিএনপিকে সমর্থন দিয়ে কাজ করতো। তাকে যে রাইফেল দিয়ে গুলী করে হত্যা করেছে তা একটা চাইনিজ রাইফেল ছিল উল্লেখ করে ফখরুল বলেন এবার প্রমাণিত হয়েছে একজন এসআই বেআইনিভাবে সংগ্রহ করা রাইফেল দিয়ে গুলী করে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইন আছে কোন পরিস্থিতিতে কোথায় গুলী করতে হবে। তারা তা মানছে না। কিন্তু বিভ্রান্ত না হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের পরাজিত করতে হবে। এসময়, তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনতে হলে, গণতন্ত্রের মাতাকে যদি মুক্ত করতে চাই তাহলে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমেই করতে হবে বলে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন তিনি। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরতে বাধ্য করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। তারপর নির্বাচন দিতে হবে। তার আগে জনগণ এদেশে কোনো নির্বাচন মেনে নেবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের সমস্ত পরিকল্পনা, আমাদের ভবিষ্যতের চিন্তাভাবনা, সবকিছুর উপরে থাকবে আন্দোলন এবং আন্দোলনের মধ্যদিয়ে বিজয়। এই ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী জনতা বিরোধী, গণতন্ত্র বিনাশি, মানবতা বিনাশি শক্তি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরতে বাধ্য করতে হবে। পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে এবং তাদেরকে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে তারপরে নিরপেক্ষ সরকার নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন তারপরে নির্বাচন হবে। সেই কমিশনের মাধ্যমে জনগণের পার্লামেন্ট জনগণের সরকার নির্বাচিত হবে। তার আগে এদেশের জনগণ কোনো কিছুই মেনে নেবে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, তারেক রহমান প্রতিহিংসার বাইরে এসে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে চান। তারেক রহমানকে সত্যিকারার্থে কারামুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, তখনকার সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদ বলেছেন, বিএনপি ২০ হাজার কোটি টাকা লুট করেছে। আমি তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছি। তাকে বলেছি তার কাছে দলিল থাকলে আদালতে হাজির করেন। না করতে পারলে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, তারেক রহমান এখনও বন্দি। তিনি মুক্ত নন। তিনি মাতৃভূমিতে আসতে পারছেন না। এখন তিনি দূরদেশে থেকে প্রযুক্তির মাধ্যমে আমাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার নেতৃত্বে আমরা চলছি। এসময় তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, সেনাবাহিনী প্রধান কি কখনও রাজনৈতিক বক্তব্য রাখতে পারেন? ১/১১ থেকে থেকে এগুলো শুরু হয়েছে। তখনকার ঘটনার পিছনে আন্তর্জাতিক যড়যন্ত্র ছিল। এখনও এর ধারাাবহিকতা চলছে। ১/১১ একটা মাস্টারপ্ল্যান ছিল। এই সামগ্রিক মাস্টারপ্ল্যানের এখনও কাজ চলছে।

তিনি বলেন, তখনকার সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদ বলেছেন বিএনপি ২০ হাজার কোটি টাকা লুট করেছে। এরপর বিএনপির জ্বালানি উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান লিখেছেন, বিএনপির সময় তখন ১৩ হাজার কোটি টাকা বাজেট হয়েছে। তাহলে এত টাকা লুট হল কীভাবে। মঈন ইউ আহমেদের এই তথ্য সম্পূর্ণ অসত্য ছিল।

বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ তার বক্তব্যে বলেন, শেখ হাসিনা বিডিআর হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিল। নারায়ণগঞ্জে যুবদল কর্মী শাওনকে হত্যা করে রক্তে রঞ্জিত হয়েছে তারা। আমরা আর এ সুযোগ দিতে চাই না। আমরা এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগ চাই। সভায় বিএনপি নেতারা বলেন, মৃত্যুবরণ করলেও রাজপথ ছাড়বো না। এবারের লড়াইয়ে জয় নিশ্চিত করে অবৈধ সরকারকে হটিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার আদায় করা হবে।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারি সামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, বিএনপির সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সিনিয়র সহ সভাপতি গোলাম সারওয়ার, সহ সাধারণ সম্পাদক ইফতেখারুজ্জামান শিমুল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোর্শেদ আলম প্রমুখ।

Top Articles
Latest Posts
Article information

Author: Trent Wehner

Last Updated: 17/05/2023

Views: 5617

Rating: 4.6 / 5 (76 voted)

Reviews: 83% of readers found this page helpful

Author information

Name: Trent Wehner

Birthday: 1993-03-14

Address: 872 Kevin Squares, New Codyville, AK 01785-0416

Phone: +18698800304764

Job: Senior Farming Developer

Hobby: Paintball, Calligraphy, Hunting, Flying disc, Lapidary, Rafting, Inline skating

Introduction: My name is Trent Wehner, I am a talented, brainy, zealous, light, funny, gleaming, attractive person who loves writing and wants to share my knowledge and understanding with you.